দ্য শেয়ার নিউজ ডেস্ক : শুক্রবার অর্থাত ৮ জানুয়ারির নন্দীগ্রামের বিজেপির সভায় নজর ছিল আজ রাজ্যের সব মানুষের। সেই নন্দীগ্রামের বিজেপির সভায় যোগ দিলেন একাধিক শহিদ পরিবারের সদস্য। শুক্রবার এই সভায় হাজির থাকলেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সভাস্থলে শহিদ পরিবারের সদস্যদের আলাদা বসার জায়গা করা হয়েছিল। সমস্বরে তাঁরা জানান, দাদা যেখানে থাকবেন তাঁরাও থাকবেন সেদিকেই। গত ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই নন্দীগ্রামের শহিদ পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা আছেন দাদার সঙ্গেই। এদিন সভায় হাজির হয়ে তাঁরা বুঝিয়ে দিলেন দল নয়, তাঁরা দাদার অনুগামী।
শহিদ পরিবারের সদস্যরা জানান, নন্দীগ্রাম কাণ্ডের পর থেকে গত ১৪ বছর ধরে নিয়মিত তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পরিবারগুলির পাশে থেকেছেন। চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। ফলে দাদার হাত ছাড়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর তিনি নন্দীগ্রামের নিহত মানুষদের পরিবারের সঙ্গে বেইমানি করেছেন বলে প্রচার শুরু করেছিল তৃণমূল। এদিন শহিদ পরিবারের সদস্যদের হাজির করে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিলেন, নেতাইয়ের পর নন্দীগ্রামেও তাঁর উপরেই আস্থা রাখলেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা। এদিন সভা থেকে বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রাও। তৃণমূলের পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের সভায় আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে বিজেপি। পরিস্থিতি সামাল দিতে নন্দীগ্রামে বাড়ানো হয় পুলিশ, র্যাফ। এদিনও তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি রাজ্যের বর্তমান শাসকদলকে সিপিএমের থেকেও খারাপ বলে তোপ দাগেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘সিপিএমের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই করেছি, কিন্তু ওরাও কোনওদিন এভাবে সভা ভন্ডুল করতে যায়নি।’
Leave A Comment
You must be logged in to post a comment.