দ্য শেয়ার নিউজ ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়া একে অপরকে কথা বলার জন্য চারপাশে যা হচ্ছে, এমনটা দেখতে অভ্যস্থ ছিলেন না ভারতীয়রা। অথচ, এখন রোজই দেখা যাচ্ছে টুইট যুদ্ধ। কঙ্গনা রানাওয়াত তো টুউট করে-করেই গোটা দেশের সকলের সঙ্গে ‘ঝগড়া’ চালাচ্ছেন। রাজ্যপালের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি পাওয়ার পর ফের টুইটারে যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়ও। এবার ফের টুইটার বিতর্ক। জড়ালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাবুল সুপ্রিয়। টুইটারে তাঁর বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করার জন্য বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে আইনি নোটিশ পাঠালেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, টুইটে তাঁর বিরুদ্ধে ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন বাবুল। তার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বাবুলকে এবং ওই টুইট প্রত্যাহার করতে হবে বাবুল সুপ্রিয়কে।

প্রশ্ন হল, কোন টুইট নিয়ে এত জল্পনা বা আইনি লড়াই? মহালয়ার দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অমানবিক এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে’, বাংলার নিজস্ব মস্তিষ্কপ্রসূত কর্মকাণ্ডে রাজ্যের উন্নয়ণে গতি এসেছে। নোটিশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ‘অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী’ কথাটা বলেননি তিনি। প্রশ্ন হল, কী টুইট করেছিলেন বাবুল? অভিষেকের ওই বক্তব্যের ওই নির্দিষ্ট অংশ টুইট করে বাবুল সুপ্রিয় লেখেন, ‘মুখ ফসকে সত্যি কথাটা বেরিয়ে গিয়েছে-অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী। আমি একটুকুও আশ্চর্য হইনি যে এটা পোস্ট করা ভিডিয়োতে রয়ে গিয়েছে। কারণ যাঁরা এটা শ্যুট করেছে তারাও ‘অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী’ দিদির অমানবিক তৃণমূলী দুষ্কর্মে এতটাই লিপ্ত যে ভুল করে ‘বেরিয়ে’ যাওয়া এই সত্যটা ওরা ধরতেই পারেনি।’-এখন আইনি লড়াইটা হবে এই নিয়েই।