দ্য শেয়ার নিউজ ডেস্ক : শনিবার ফেসবুক লাইভে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেন, তা নিয়ে চলছিল জল্পনা । বড়সড় কিছু ঘোষণা করতে পারেন বলে ছড়িয়েছিল গুঞ্জন। রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের তরফেও যে খারাপ কিছুর আশঙ্কা করা হয়নি, তা নয়। যদিও প্রায় ৩৫ মিনিটের ফেসবুক লাইভে কোনও রহস্য ভাঙলেন না রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের একটি অংশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করলেও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার যে জল্পনা ছড়িয়েছে, তা নিয়েও কোনও মন্তব্য করলেন না। বরং এখনই য়ে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন না, তেমনই ইঙ্গিত দিলেন।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময়ে বলেন, মানুষের ধীরস্থির থাকা উচিত। ধৈর্য ধরা উচিত। স্বামী বিবেকানন্দ শিখিয়ে গিয়েছেন। সুতরাং এখনও অবধি তিনি ধৈর্য ধরে রয়েছেন। তাঁর এখনও অবধি ধৈর্যচ্যুতি ঘটেনি। তিনি এখনও অবধি ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন এবং এখনও পর্যন্ত মানুষের জন্য ধৈর্য ধরে আছেন। দু’দফায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক পুরোপুরি ফলপ্রসূ না হলেও তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খুলে রেখে দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ তৃণমূলের কোর্টেই বল ঠেলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁর ধৈর্যচ্যুতি ঘটবে কি ঘটবে না, তা ঘাসফুল শিবিরের উপর নির্ভর করবে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক লাইভের প্রেক্ষিতে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, দলে থাকলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। কেউ রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য হলে সেখানেই কোনও বিষয় নিয়ে মুখ খোলা ভালো। বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা সরাসরি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আহ্বান জানিয়েছেন তাঁদের দলে যোগ দেওয়ার।