দ্য শেয়ার নিউজ ডেস্ক : তমলুক থেকে রবিবার করা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেও দিলেন তিনি কালীক্ষাটে পদ্ম ফোটাবেন ১৬ ফেব্রুয়ারির পর। সোমবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কাল তোলাবাজ ভাইপো তিনটে কথা বলেছে। এক, শুভেন্দু ঘুষখোর। দুই, মধুখোর, যে আমি ১০ বছর মধু খেয়েছি। তিন, বিশ্বাসঘাতক। তিনি বলেছেন, আমাকে খবরের কাগজ মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। আমার কথা ভাবতে হবে না। ও বরং ভাবুক ওর বড় জ্যাঠা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মেজো জ্যাঠা মাস্টারমশাই সৌগত রায়ের কী হবে। আর ভাবুক তাঁর পিসিমণি কাকলি ঘোষদস্তিদার, কাকু ববি হাকিমের কী হবে!
শুভেন্দুর অধিকারী আরও বলেন, ‘গত ২৭ নভেম্বর আমি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছি। ১ ডিসেম্বর জেলে থাকা সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লিখিয়েছে। কে লিখিয়েছে? জেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন আইপিএস মিস্টার পান্ডে। পুরো নামটা বললাম না। তাঁকে লিখতে বলেছে কে? নবান্নে বসে থাকা জিবি সিং নামে একজন আইপিএস অফিসার। আর এ সবের পেছনে রয়েছে তোলাবাজ ভাইপো। বিমান বসুর নামও লিখিয়েছে তোলাবাজ ভাইপো। বিমান বসুর ব্যাপারে এই তোলাবাজ ভাইপো জানে না। বিমানবাবু এখনও নিজের কাপড় জামা নিজে কাচে। দুপুরবেলা আমরা সবাই ভাত, রুটি খাই। বিমানবাবু এখনও দুপুরে মুড়ি আর শশা খান। রাতের বেলা গণশক্তি অফিস থেকে ফেরেন। তাঁর নাম পর্যন্ত লিখিয়েছে। একুশের ভোটে যাঁরা যাঁরা বিরোধিতা করতে পারে, যেমন বিমান বসু, অধীর চৌধুরী, সুজন চক্রবর্তী, মুকুল রায়, আমার নাম লিখিয়েছে। আমি ১০ বছর মধু খেয়েছি কিনা জানি না। কিন্তু আমার কি কোনও পরিবর্তন হয়েছে? আমার পাসপোর্টে কাঠমান্ডু–ঢাকা যাওয়ারও দাগ নেই। আর আপনি তো বছরে চারবার বিদেশে যান। অসুখ হলে তমলুক হাসপাতালে দেখাই, বড় কিছু হয়ে গেলে অ্যাপোলোকে জিজ্ঞেস করি। আর আপনার তো সিঙ্গাপুরে না গেলে চিকিৎসা হয় না। মধু তো আপনি খাচ্ছেন। আমার বাড়ি ২০১১–র আগে যা ছিল তাই আছে। একটা তলাও বাড়েনি। ১০ বাই ১০ ঘরে ঘুমোই। আর আপনি তো এক গরিব লোককে তুলে চারতলা বাড়ি বানিয়েছেন। আমাকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে হিসেব নিতে হবে না। জনগণ এ সবের হিসেব নেবে।’
Leave A Comment
You must be logged in to post a comment.