দ্য শেয়ার নিউজ ডেস্ক : পূর্ব মেদিনীপুরে মেগা শো করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দল ছাড়া নিয়ে যে জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে আপাতত তা নস্যাৎ করলেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তিনি এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্য, সক্রিয় সদস্য ও রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্য। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী তাড়িয়ে দেননি। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তিনি কোনও রাজনীতির কথা বলবেন না। এদিন তাঁর বক্তব্যে বিভেদ, বিচ্ছেদের কথাও শোনা যায়। বিগত কয়েকদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারী কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। আপাতত পরিবহণমন্ত্রী সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘মিডিয়ার লোক ভাবছে আমি দল পরিবর্তন করব। সমবায়ের মঞ্চ থেকে এগুলি করা যায় না। টিআরপির জন্য আপনি যা খুশি করতে পারেন। আমি এখনও একটা দলের প্রাইমারি মেম্বার, সক্রিয় সদস্য। আমি এখনও একটি মন্ত্রীসভার সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী রেখেছেন। উনিও তাড়াননি, আমিও ছাড়িনি। রাজনৈতিক কথাবার্তা দলের ভিতরে থেকে, মন্তীসভায় থেকে বলা যায় না।’

এদিনও শুভেন্দু অধিকারী নানা বক্তব্যের মাধ্যমে কটাক্ষ করেছেন সমালোচকদের। কখনও বলেছেন বসন্তের কোকিল। কখনও বলেছেন শুধু ভোট চাই না, মানুষের পাশেও থাকি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেছেন, ‘বসন্তের কোকিল নই আমি। সকলের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। ভোট চাই, ভোট দাও। ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও একথা তো বলি না। লকডাউনে থাকি, কোভিডেও থাকি, আমফানের ঝড়েও থাকি। আমফানে দীঘায় ছিলাম। ভেবেছিলাম ঝড়ে উড়িয়ে দেবে। নন্দীগ্রামে আন্দোলন করা লোক তো ভারি হয়ে গিয়েছি। ঝড়ে ওড়াতে পারবে না। আমি ইলেকটেড, নমিনেটেড বা সিলেকটেড নই।’ অর্থাত, বললেন তো শুভেন্দু অধিকারী অনেক কথাই। কিন্তু, এইসব কথা দিয়ে বোঝাটা আর যায় কী! সাফ নয় কিছুই। অতএব, রাজনীতির সেই প্রাথমিক সূত্রই বজায় থাকুক। সম্ভাবনা। দেখা যাক, সম্ভাবনা শুভেন্দু অধিকারীর ভবিষ্যত কী নির্ধারণ করে রাজনীতির আঙিনায়।